মমতা ব্যানার্জী পেলেন বড় ঝটকা! ভাইপো অভিষেকের ভাষণ শুনেই মাঠ ফাঁকা করলো বাংলার জনগণ।

কংগ্রেস যেভাবে দেশে পরিবারতন্ত্র চালিয়ে বছরের পর বছর ধরে রাজত্ব করেছে এখন সেই একই পথ অবলম্বন করছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা। একদিকে কংগ্রেস, রাজনীতিতে অপরিপক্ক রাহুল গান্ধীকে নেতা বানাতে ব্যাস্ত তখন পশ্চিমবঙ্গে মমতা ব্যানার্জী তার ভাইপো অভিষেককে পরবর্তী প্রজন্মের নেতা বানাতে ব্যাস্ত হয়ে উঠছে। যদিও জনগণ এই দুই অপরিপক্ক ব্যাক্তিকে তাদের নেতা হিসেবে নারাজ তার ইঙ্গিত বার বার পাওয়া যাচ্ছে। তৃণমূলের অনেক নেতামন্ত্রী দাবি করেন যে বাংলার রাজনীতির পরবর্তী প্রজন্মের নায়ক হচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাদের কথায় রাজনীতি খুব সুন্দর ভাবে ধরে ফেলেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। অভিষেকের জনসভার ভাষণ দেখে অনেকে দাবি করেন যে তৃণমূল দলের দমে যাওয়া নেতারা তার ভাষণ শুনে উজ্জীবিত হন। কিন্তু তাদের সমস্ত ধারণা যে ভুল সেটা আবারও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।শনিবার বেড়াইয়ে অর্থাৎ যেটা অবস্থিত নদিয়ার তেইট্টায় সেখানে একটি জনসভা করতে গিয়েছিলেন তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেখানে গিয়েই মুখ থুবড়ে পড়ে অভিষেক বন্ধ্যপাধ্যায়ের রাজনৈতিক দক্ষতা।

তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে যে, অভিষেক বন্ধ্যপাধ্যায় মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার জন্য উঠেলেই আস্তে আস্তে ফাঁকা হতে শুরু করে সভা। সেখানে উপস্থিত জনগণ সভা ছেড়ে যেতে শুরু করে দেয়। যদিও এইদিন নিজেদের অসফলতা এড়ানোর জন্য গৌরীশংকর বাবু যিনি হলেন নদিয়ার জেলা সভাপতি তিনি দাবি করেছেন যে, সভায় ৬০ হাজার লোকের সমাগম হয়েছিল।এত কম লোক হওয়ার কারণ খুঁজতে গিয়ে যেসমস্ত কারণ গুলি সামনে উঠে এসেছে সেগুলি হল এই জেলায় এমন অনেক এলাকা রয়েছে যেখানে যেখানে এখনো অব্দি ভালো ভাবে কাজকর্ম কিছুই করানো হয়নি রাজ্য সরকারের তরফে। রাস্তাঘাটের বেহাল দশা হয়েছে কিন্তু সেগুলোর সারাই কাজের ব্যাপারে সরকার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। এরফলে জেলার সাংগঠনিক শক্তি দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে। আর রাজ্য সরকারের সেই সমস্ত ব্যর্থতার প্রভাবই পড়েছে তৃণমূলের সভায়।অপরদিকে জেলার নেতারা দাবি তুলেছেন যে, শাসক দল তৃণমূল সরকার কোনো জেলা নেতৃত্ব কে স্থির ভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না।

জেলা নেতৃত্ব কে ভাঙ্গা হচ্ছে বারবার। আর মূলত এইসব কারণ গুলির জন্যই তৃণমূলের আজ এই পরিস্থিতি। তৃণমূলের যুব সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও এইদিনের এই সভায় উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের মহা সচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। উল্লেখ্য, এই পার্থ চট্টোপাধ্যায় নদিয়া জেলার পর্যবেক্ষক। এছাড়াও ছিলেন তৃণমূলের অন্যান্য নেতানেত্রীরা।গত ৫ ই নভেম্বর তৃণমূলের দলীয় কমিটির তরফে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী কে নদিয়া জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয় এবং পার্থ চট্টোপাধ্যায় কে করা হয় পর্যবেক্ষক। কিন্তু দায়িত্ব পাওয়ার পর সমগ্র নাদিয়া জেলায় মাত্র একবার গিয়েছিলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি সেখানে গিয়ে জেলার সাধারণ মানুষের সাথে কোনো রূপ যোগাযোগ করেন নি। তাদের কাছে জানতে চান নি তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা। আর সেই জন্যই এই মুহূর্তে নদিয়া জেলায় দুর্বল হয়ে পড়েছে তৃণমূলের সংগঠন।

একদিকে এই জেলায় যেমন তৃণমূলের প্রভাব কমে আসছে তেমনই ব্যাপকভাবে নিজেদের সংগঠন শক্তিশালী করে ফেলেছে বিজেপি। আর এরই প্ৰভাব দেখা গেল এইদিন অভিষেক বন্ধ্যপাধ্যায়ের জনসভায়।
#অগ্নিপুত্র



from India Rag Bengali : Bangla Khobor, বাংলা খবর, Bangla News, 24 Ghanta, ei samay, ebela http://bit.ly/2GNQJtL

Comments

Popular posts from this blog

‘ভোটে গোপনে তৃণমূলের হয়েই কাজ করেছি” বিজেপি ছেড়ে TMC তে ফেরার আর্জি প্রাক্তন মন্ত্রীর

‘কাগজ আমরা দেখাবো না’- কবিতার বিরুদ্ধে কড়া জবাব দিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। বলেলন বুদ্ধিজীবীরা বাংলার ভবিষ্যত নষ্ট করছে।

all links of India Rag